পোস্টগুলি

2016 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আলোর পথে

 যখন, আমি আমার মাঝে নেই কাঁদতে ভুলে যাই, তখন, হাড়িয়ে যাই কলুষিত দিগন্তে বেলা শেষে নীড়ে... যখন, হো হো হো হাঁসির শব্দে  ঘুম ভেংগে যায়। তখন, আবিষ্কার করি নিজেকে পতিতালয়ের অন্ধকারে । যখন, বুঝতে পারি আমি বেড়ে উঠেছি মায়ের সাথে । তখন, মা'কে যাত্রা শুরু আলোর পথে। যখন, শেষ দর্শন করি মায়ের মুখ এ ধরায় আবার জন্ম নেই, তখন , মায়ের মুক্তি কামনা ব্রত নিয়ে আলোর পথে।                                                ৯ অক্টোবর ২০১৬

কল্পনার ভ্রম !

এ ভ্রমণ আর কিছু নয়, কেবল তোমার কাছে যাওয়া তোমার ওখানে যাবো, তোমার ভিতরে এক অসম্পূর্ণ যাতনা আছেন, তিনি যদি আমাকে বলেন, তুই শুদ্ধ হ’ শুদ্ধ হবো কালিমা রাখবো না! এ ভ্রমণ আর কিছু নয়, কেবল তোমার কাছে যাওয়া তোমার ওখানে যাবো; তোমার পায়ের নীচে পাহাড় আছেন তিনি যদি আমাকে বলেন, তুই স্নান কর পাথর সরিয়ে আমি ঝর্ণার প্রথম জলে স্নান করবো কালিমা রাখবো না! এ ভ্রমণ আর কিছু নয়, কেবল তোমার কাছে যাওয়া এখন তোমার কাছে যাবো তোমার ভিতরে এক সাবলীল শুশ্রূষা আছেন তিনি যদি আমাকে বলেন, তুই ক্ষত মোছ আকাশে তাকা– আমি ক্ষত মুছে ফেলবো আকাশে তাকাবো আমি আঁধার রাখবো না! এ ভ্রমণ আর কিছু নয়, কেবল তোমার কাছে যাওয়া যে সকল মৌমাছি, নেবুফুল গাভীর দুধের সাদা হেলেঞ্চা শাকের ক্ষেত যে রাখাল আমি আজ কোথাও দেখি না– তোমার চিবুকে তারা নিশ্চয়ই আছেন! তোমার চিবুকে সেই গাভীর দুধের শাদা, সুবর্ণ রাখাল তিনি যদি আমাকে বলেন, তুই কাছে আয় তৃণভূমি কাছে আয় পুরনো রাখাল! আমি কাছে যাবো আমি তোমার চিবুক ছোঁবো, কালিমা ছোঁবো না!

মিডেল ক্লাস ফ্যামেলির সন্তান

মিডলক্লাস ফ্যামিলিগুলো আসলেই খুব কুখ্যাত। নিজের পরিবারের সদস্যদের প্রতি একটুও মায়া দেখাতে পারেনা..... এই পরিবার গুলো থেকে দু-চারটা ছেলে মেয়ে উঠার চেষ্টা করলে ভাগ্য তাদের নিচের দিকে ধরে টানে .... ( তোর জায়গা উপরেনা এখানে, তুই এখানে থাক, এটাই কন্ট্রোল করতে হিমশিম খাচ্ছিস আবার উপরে উঠতে চাস) এই ছেলে-মেয়েরা পড়ালেখা শেষ করার তেমন একটা সুযোগ পায়না। তাদের স্কিলের তুলনায় পরিবারের চাহিদা হয়ে যায় খুব বেশি... একটা ছেলে বা মেয়ে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করলেই তাদের পরিবার মনে করে, 'ছেলে তো শিক্ষত হয়ে গেছে এখন চাকুরী করে লাখ লাখ টাকা কামাবে....' কিন্তু সে কতটুকু পর্যন্ত খাটতে পারবে তা একমাত্র সেই বলতে পারবে। যে পরিবারের চাহিদা বেশি থাকে তার সবগুলোই অশিক্ষিত পরিবার এবং ঐ ছেলে বা মেয়ে তাদের বংশ বা পরিবারের মধ্যে একমাত্র কিছুটা শিক্ষিত..... যার কারনে, তাদের বুঝার মতো পরিবার গুলোতে কেউ থাকে না। তাকে তার বুঝ তৈরি করে নিতে হয় সেটা সে যেভাবে ই পাড়ুক চেষ্টা করবে..... তার চেষ্টাকে আমি সাধুবাদ জানাই!... ইন্টারমিডিয়েট দেওয়ার পরে, মুর্খ মিডলক্লাস ফেমিলির ছেলে গুলার উপর একটা বার্তী চাপ পড়ে। পরিবার থেক

ভাবনা !

ভাবনাগুলি ভাবছি আমি, আমার মতো করে। ছুয়ে যায় ভাবনাগুলি, শুধুই আমাকে। সত্যি যদি স্বপ্ন গুলি, জীবনের পথে। ধরা দেয় অধরাও, মনের আকাশে। ছুয়ে দেয় মন যদি, স্বপ্নগুলি দিয়ে। মিশে যায় তফাতে , মানুষ মানুষে। স্বপ্ন-ভাবনা জীবন যেন, আকাশ-পাতাল দূর। দূর দিগন্তে মিশে গেছে, আকাশ-পাতালে।

মনের ঝাপসা দর্পন !

ছবি
ঝাপসা মনের অনুভূতিপাঠ.... হরেক রকম অনূভূতির হরেক রকম প্রকাশ, নানান পুস্তক ঘেটেঘুটে আমার অধম মস্তিষ্কের এই প্রকাশ ! ১) “অভূতস্মৃতিবিস্মরণ” - এটা এমন একটা অভিজ্ঞতা যেটা কেউ শুনবে না বা শুনলেও হেসে উড়িয়ে দেবে । আপনি অত্যন্ত অদ্ভুত একটা পরিস্থিতিতে পড়েছিলেন, যেটায় কেউ পড়েনি এর আগে, এর ভয়ংকর অস্বাভাবিকতাটা সম্পর্কে কারো কোন ধারণাই নেই । আপনি এমন কিছু হয়তো শুনেছেন, দেখেছেন যেটা আর কেউ শুনেনি বা দেখেনি । তাই আপনি জগতের কারো সাথে এই অভিজ্ঞতাটা নিয়ে কথা বলে শান্তি পাচ্ছেন না, কেউ সহমর্মী হচ্ছে না আপনার প্রতি । ধীরে ধীরে আপনি নিজে থেকেই আপনার নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া এই ভয়ংকর অভিজ্ঞতাটা ভীষণ কষ্টে ভুলে যেতে শুরু করবেন । এভাবে ভুলে যাওয়ার প্রক্রিয়াটাই হল "অভূতস্মৃতিবিস্মরণ" । ২) “জ্যেষ্ঠহরণভীতি” - এটা হচ্ছে খুব প্রিয় কাউকে তার / তাঁর বয়স বাড়ার সাথে হারিয়ে ফেলার ভয় । এটা সবচেয়ে বেশি হয় বাবা/মা এর সাথে । ৩) “আত্মাস্তভীতি” - এটা হচ্ছে খুব প্রিয় বিমূর্ত কোন কিছুকে নিজের বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে হারিয়ে ফেলার ভয় । উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, নিজের সৌন্দর্য, সৌন্দর্যবোধ, আত্মসম্মানবোধ, চঞ্চলতা

"লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ"

ছবি
বন্ধ বইয়ের মত নিজেকে জানো না ! নয়তো জানতে তোমার মাঝে খোদার চিহ্ন লুকানো আছে। সত্য প্রকাশিত তোমার মাঝেই। প্রচলিত ধর্মতত্ত্ব আল্লাহর অস্তিত্ব সম্পর্কে চিন্তা করে। সেটাই হলো ধর্মতত্ত্বের মূল কথা, শরিয়ত আল্লাহ সম্পর্কে যুক্তি প্রদান করে, পর্যবেক্ষণ করে, চিন্তা করে, আল্লাহ সম্পর্কে ধারণা করে। সুফিবাদ আল্লাহ সম্পর্কে চিন্তা করে না। কারণ সুফিগণ বলেন, তুমি কীভাবে আল্লাহ সম্পর্কে চিন্তা করতে সক্ষম? এখানে চিন্তাই অকেজো। তুমি এ দেহপৃথিবী সম্পর্কে চিন্তা করতে পার। কিন্তু আল্লাহ সম্পর্কে তুমি চিন্তা করতেই পার না। তুমি কেবল তাঁর প্রেমে মশগুল হয়ে সম্পূর্ণরূপে তন্মধ্যে একাত্ম হয়ে যেতে পার। অতএব এটা কোনও ধর্মতত্ত্বই নয়, আত্মমুক্তির পথ পদ্ধতি শেষ। এটা তোমার সচেতন অনুশীলনমালার ফল। তরিকত সে পথ যে পথ মিলেছে পরমে পরম্পরায়। যদি তুমি ফকিরকে অনুসরণ কর, যদি ধীরে ধীরে বিভেদ ভুলে অখণ্ড অস্তিত্বে বিলীন হও, তার শেষ ফল হলো, ফানা। ‘ফানা’ মানে হলো দেহলীন অবস্থা। বুদ্ধ (আঃ) যাকে বলেন ‘নির্বান’। তোমার সম্পূর্ণ বিলয় ঘটে কিন্তু তোমার বিলয়ে সেখানে আল্লাহর উদয় ঘটে। যদি তুমি ফানার হালে থাক তবে হঠাৎ শূন্য থেকে তোমার

"জন্মাই আমার আজন্ম পাপ/অভিশাপ"

ছবি
শয়তানের জবানবন্দি...... বৈশাখ মাস, আকাশ পরিষ্কার, বায়ু স্তর। রাতটি ছিল অতি গরমের। বৈঠকঘরের বিছানায় শুয়ে এপাশ-ওপাশ করছি ; ঘুম আসে না গরমে। মনে হয় যেনো জাহাজে বয়লারের কাছে শুয়েছি অন্যত্র জায়গা না পেয়ে। মনটা ছোটাছুটি করছে তাপের লেজ ধরে কল্পনাজগতের নানা পথে। ভাবছি তাপ দুপ্রকার – কৃত্রিম ও প্রাকৃতিক। কৃত্রিম তাপ কমানো যায়, বাড়ানো যায়, নতুবা তাপের উৎস থেকে দূরে সরে যাওয়া যায়। কিন্তু প্রাকৃতিক তাপের বেলায় সবসময় তা পারা যায় না। আজকের এ তাপের উৎস হচ্ছে সূর্য। যার স্থানীয় তাপমাত্র ৬০০০ হাজার ডিগ্রী (সে) এবং দূরত্ব ৯ কোটি ৩০ লক্ষ মাইল। শোনা যায় যে, দোজখের আগুনের তাপ নাকি সে আগুনের চেয়ে ৭০ গুণ বেশী। অর্থাৎ ৪,২০,০০০ ডিগ্রী (সে) এবং তা হবে মানুষের কাছে দূরত্বহীন। কেননা সে আগুনের ভিতরেই নাকি থাকতে হবে তথাৎ বিধৰ্মী বা অধাৰ্মিক মানুষকে। তা-ও আবার দশ-বিশ বছর নয়, অনন্তকাল। মানুষের এহেন কষ্টভোগের কারণ নাকি একমাত্র শয়তান। তাই বিশ্বাসী মানুষ মাত্রেই শয়তানের উপর অত্যন্ত ক্ষ্যাপা। শয়তান নাকি পূর্বে ছিলো ‘মকরম’ নামে একজন প্রথম শ্রেণীর ফেরেস্তা এবং অত্যন্ত মুসল্লী। সে নাকি এতই খোদ

মানব মগজ

ছবি
হিউম্যান ব্রেন বা ‘মানব মগজ’। এই মানব মগজ হচ্ছে সবচেয়ে জটিল বিষয়গুলোর একটি।  মানুষের মগজের ওজন গড়ে ৩ পাউন্ড। শরীরের আকারের তুলনায় মানুষের ব্রেনই সবচেয়ে বড়।  মানুষের ব্রেনই সবচেয়ে বড় অংশ হল সেরিব্রাম। এই সেরিব্রামের ওজন পুরো মগজের ৮৫ শতাংশ। মগজের হোয়াইট মেটার বা শ্বেতাংশ ৬০ শতাংশ আর গ্রে মেটার বা ধূসরাংশ ৪০ শতাংশ। আর এই হোয়াইট মেটার বা শ্বেতাংশ এবং  গ্রে মেটার বা ধূসরাংশের ৭৫ শতাংশই পানি। মানুষের ব্রেনের ৬০ শতাংশই চর্বি। গর্ভে আসার পর থেকে মগজে প্রতি মিনিটে ২৫০,০০০ নিউরন তৈরি হয়। এই মগজ মানুষের শরীরের ২৫ শতাংশ অক্সিজেন খরচ করে। মগজে তথ্য প্রক্রিয়াজাত হয় সেকেন্ডে ১/২ মিটার থেকে ১২০ মিটার গতিবেগে। এবার আসি কাজের কথায়। মানুষের মস্তিস্কের তথ্য ধারন ক্ষমতা কত? মানব মস্তিষ্কের প্রায় ৫০ বিলিয়ন থেকে ২০০ বিলিয়ন নিউরোন রয়েছে। প্রতিটি নিউরনে রয়েছে ১ হাজার থেকে ১০ হাজার ট্রিলিয়ন সিন্যাপস। প্রতিটি সিন্যাপস বার বার সক্রিয় করা হয় ভেরিয়েবল থ্রেশহোল্ড (অগ্নিসংযোগ/স্পার্ক) এর মাধ্যমে। যদি আমরা ধরেনি প্রতিটি সিন্যাপসে ২৫৬ টি আলাদা থ্রেশহোল্ড হয় এবং প্রতিটি  নিউরন ১০ হাজার সিন্যাপস শেয়

অতিষ্ট

ছবি
১. বিষন্ন এ পৃথিবীটা আমাকে কুড়ে কুড়ে খায়। আমাকে আকড়ে ধরে বিষক্ত পোকার মত; চাতক পাখির মত তাকিয়ে থাকে দু:খগুলো - চিল শকুনের মত, ঠোকরে ঠোকরে খাবে বলে; পালিয়ে বেড়াই অন্য এক পৃথিবীতে। এখানেও সুখ নেই। এখানেও সুখ নেই। বথার ক্ষত হৃদয়গুলো এখানে, ইচড়ে পাকা দেহগুলো, পঙ্গু জীবনগুলো, হিংস্র জানোয়ারের আচড় খাওয়া চামড়াগুলোর এখানে বাস। সুখ নাই। কোথায় যাব। ২. কবিতা জীবনে অব্যক্ততা বড় জ্বালা নেই তো কোন বদল পালা; দ্বিধাদ্বন্ধে হারায় স্বস্ব অভিপ্রয় কাঁদে যত অব্যক্ত কথামালা। হারা ধরে হয় না পথে ফেরা হয় না আর কখনো মনপুরা; থমকে যাওযা জীবন নাটকে নেই তো কোন পথ খোলা। নিঃসঙ্গতা যে হতাশার পথ- ঘিরে রহে অক্টোপাসের মত; না পারে কহিতে সহিতে ধরে না পারে...

ভালোবাসার প্রান !

ছবি
শুরুতেই সবাইকে অক্সিটসিন, ভেসোপ্রেসিন ও ডোপামিনময় ভালবাসা। ভালবাসার সাথে কিভাবে নিউরাল, জেনেটিক বা বায়োক্যামিক্যাল নেটওয়ার্কগুলো যুক্ত মানুষ তা একটু একটু করে বুঝতে শুরু করেছে। দেখা গেছে জুটিদের মধ্যে দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক মানুষ ব্যতিত অন্য স্তন্যপায়ীদের মধ্যে বিরল। যদিও অধিকাংশ প্রাণীর মধ্যে পারিবারিক বা সামাজিক বন্ধন দেখা যায়। উদাহরনস্বরূপ মাতৃস্নেহ হচ্ছে ভালবাসার অনন্য উদাহরণ। দেখা যায় যে, স্তন্যপায়ীদের মধ্যে এই ভালবাসার প্রক্রিয়া বা ধরন বিবর্তনের গতির সাথে তেমন পরিবর্তন হয়নি; প্রায় একই রকম রয়ে গেছে এই শক্তিশালী প্রক্রিয়াটি। অক্সিটসিনকে বলা হয় “ভালবাসার হরমোন”। অক্সিটসিন মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাস থেকে উৎপন্ন হয়ে পিটুইটারি গ্রন্থিতে জমা থাকে। সন্তানের প্রতি ভালবাসা প্রদর্শনের সময় দেখা যায় মায়েদের মস্তিষ্কে অক্সিটসিনের মাত্রা বেড়ে যায়। এই অক্সিটসিন শুধুমাত্র সন্তানের প্রতি ভালবাসা নয়, বরং সঙ্গী নির্বাচন বা সন্তান উৎপাদনে ভালবাসার কার্যকলাপের সময় অক্সিটসিন অতি মাত্রায় বেড়ে যায়। অক্সিটসিন শুধু ভালবাসার সাথে সম্পর্কিত নয়, তা মানুষে-মানুষে বিশ্বাস ও সামাজিক বন

আমার ভাবনায় বন্ধুত্ব

ছবি
একসাথে ঘুরলে, একসাথে বসলে, একসাথে খেলে কিংবা একই মিছিলে অংশ নিলেই বন্ধু হয়ে যাওয়া যায়? এতসোজা? কি জানি বাপু , বুঝি কমতো… তাই বন্ধুর সংখ্যাও কম… কারন; আমার কাছে বন্ধুত্ব মানে দ্বায়বদ্ধতা, জবাবদিহিতা, শ্রদ্ধা, আন্তরিকতা, সমালোচনা করা অপমান বা কটাক্ষ করার মানসিকতা না। একেবারে আলাদা মর্যাদা, আলাদা একটা আবেদন। বন্ধুত্ব এমন একটা সম্পর্ক যার সাথে কোন সম্পর্কের তুলনা হয় না। পৃথিবীর এমন কোন সম্পর্ক নাই যার সাথে স্বার্থ নাই। একমাত্র বন্ধু হচ্ছে সেই সম্পর্ক যার কোন স্বার্থ নাই। আত্মীয় অনাত্মীয় যে কেউ যেকারো বন্ধু হতে পারে, যেকোন বয়সের। সিদ্ধান্ত নিয়ে বন্ধুত্ব-প্রেম-ভালবাসা হয় না। কিন্তু কিছু কমিটমেন্ট করা যায় অনায়াসে, যেন বন্ধুত্ব-প্রেম-ভালবাসায় ভুল বুঝাবুঝি না হয়। বন্ধুত্ব মানে সবকিছু শেয়ারিং… আনন্দের সময় যেমন থাকবে, দুঃখ কিংবা বিপদেও থাকবে… কোন সমস্যা হলে আস্বস্থ্য করা, ভয় পাইস না আমি আছি। না শুধু টাকার বিচারে না, বন্ধু পরিবারের অন্য সদস্যের মতো হবে। জটিল কিংবা অতিক্ষুদ্রতর সিদ্ধান্তটুকুও প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে তার মতামত নেয়া কিংবা তার সাথে শেয়ার করা। বন্ধুত্ব মানে নিরাপত্তা এবং যত্ন। সুখিচিত্

অপ্রকাশিত অনুভূতির না বলা কথা

যত দূর মনে পরে... তখন ২০০০ সাল, বছরের মাঝা-মাঝি সময়। দিন, তারিখ, মাস সম্পর্কে তখনও কিছু জানি না। তবে বর্ষা কালের কথা স্পস্ট মনে আছে ! মনে থাকবেই না কেন, বর্ষা যে সর্বনাশা...! জীবনের ক্ষত দাগ কেটে গেছে হাজারও মানুষের। আমি হাজার মানুষের ভীরে হারিয়ে যাওয়া, সেই কঠিন স্মৃতি লালন করা দিশেহারা মন। গ্রামটির গোড়াপত্তন খুব বেশী দিন নয়, হয়তো শত বছরও পার করেনি, তবে শত বছর ছুই ছুই করছে। পুরো গ্রামটি একসময় ফসলে মাঠ ছিল, বর্ষায় যমুনার উপচে পরা পানি মাঠের জমি উর্বর করে দিয়ে যেত। কৃষকের কাছে এ গ্রামের ফসলের মাঠ রত্ন ভান্ডার। কৃষি কাজের উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে বসতি, এখানে সেখানে ঘড়-বাড়ি। গ্রামটির বুক চিরে বয়ে যাওয়া খাল, খালের দু-পার দিয়ে ঘড় বাড়ি সারি সারি... লম্বা পাড়া, আঁকাবাকা বয়ে চলা খাল । পাড়া (গ্রামের সারিবদ্ধ বাড়ি) ও আঁকাবাকা । গ্রামের পূর্বদিকে বিল (জলাশয়) যেখানে সারা বছর পানি জমে থাকে, গ্রামের সকল প্রানীর প্রান প্রিয় বিল এটা। কিছু ঘড়বাড়ি এলোমেলো ছিল, বিশেষ কিছু কারনে.. সব মিলিয়ে গ্রামটি বেশ শান্তি পূর্ন ছিল। অতি প্রত্যান্ত অঞ্চল বলে শিক্ষা, যোগাযোগ ব্যাবস্থা যা ছিল, অ

আমার ভাবনায় আমি

ছবি
আমি...কে ? আমি সেই "ভাবনা"... যে স্রষ্ঠা থেকে সৃষ্টির সকল উপাদান নিয়ে মাথা ঘামায় এবং নিজের অতল ভাবনায় ডুব দিয়ে নিজেকে খুজে বেড়াই। আমি দুটি দেহচাষীর ঘাম ঝড়ানো কষ্টের ফসল, আমি শত সহস্র শুক্রানুকে হারিয়ে দিয়ে নির্ধারিত ডিম্বানুর সমন্বয়ে গঠিত মানব দেহ, আমি দেহ অচল-অসাড় , আমার আত্তা স্রষ্ঠার সৃষ্ট অদৃশ্য সত্তা । আমি দেহ এবং আত্তার মিলিত রুপ। যেদিন আমার প্রকাশ হয়, সেদিনই আমার জন্ম নয়, জন্মেছি পূর্বেই তবে আমার প্রকাশই আমার জন্মদিন বলে প্রচারিত। কিন্তু আমার প্রকৃত জন্মদিন ওরাই ভূলে গেছে যারা আমার জন্মদাতা ! আমার জন্মদান ওদের আত্তোভূলা ক্ষনিক সুখের সন্ধান ! হাড়িয়ে গেছে আমার মত কত শত সন্তান ! আমি জয় করেছি বিন্দু জীবন, আরেক জয়ের পালা । খেলতে চাইনা কখনই আমি আত্তোভূলার খেলা। সহস্র কোটি ভাবনাতে আমি নিজেই হারিয়ে গেছি, সকলি ভুলে একমাত্র নিজেকেই খুঁজে বেড়াচ্ছি... আমার মূলে স্রষ্ঠা, বিভ্রান্ত সমাজ ব্যবস্থা আমাকে নিয়ে এসেছে ভুল পথে অনেক দূর... চলতে চলতে মূল ভূলে সব হারাতে বসেছি, এ হঠাৎ আত্তো জাগরন আমাকে আবার মূলে ফিরিয়ে দেবে প্রত্যাশায় আশা রাখছি... স্রষ্ঠা তোমায় এ জীবন উৎসর্গ করছি

অবুঝ মন নিশ্পাপ জীবন

ছবি
অবুঝ মন কথাটি খুব পরিচিত, "অবুঝ জীবন" কথাটা দেখতেই অন্যরকম ! যদি কারও মন অবুঝ হয় তবে তার জীবন ই অবুঝ। অবুঝ মনের ভাবনাতে কত কি আমি দেখতে পাই যা অবুঝ নয়। ছোট্ট বেলার জীবনই আমাদের কাছে অবুঝ , কিন্তু ছোট্ট বেলার জীবনও অবুঝ নয়....! ছোটদের কিছু ভীবনা বড়দেরকে ভাবনাকেউ হার মানায় । অবুঝ মন আমার সদা অপন, হয়ত সবার বেলাতেই এই আপন অনূভূতি মন ছুয়ে যায়। অবুঝ মনের এই মন ছুয়ে যাওয়ার অনূভূতিই , মন যে সত্যিই অবুঝ হয় তা মেনে নিতে বাধা দেয়। অনেক সময়ই বয়ষ্ক লোকদেরও অবুঝের মতো আচরন করতে দেখা যায়, মন বয়সের ফ্রেমে কখনই বন্ধী হয় না। তাই হয়ত যখন তখন মন অবুঝ হয়ে যায়। বিভিন্ন বয়সে মনের এ অবুঝ আচরন বলে দেয়, মন সদা সর্বদাই শিশু সুলভ... (সময় সংক্ষেপ বলে এখন আর লিখতে পারছি না)                                           চলবে........