পোস্টগুলি

2018 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

জীবনের জটিলতায় আজ ভবঘুরে আমি !

ছবি
১২ই জানুয়ারি ২০১৭ প্রথমবার দেশের সীমানা ছেড়ে বিদেশে ভবঘুরে জীবন শুরু করেছিলাম । গত দের বছরে ঘুরলাম ৫টি দেশ , আমার রুট ছিল বাংলাদেশ-ভারত-বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড-ফিলিপাইন-বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল-ভারত-মালেয়শিয়া-ফিলিপাইন। আমার শুরুটা ছিল দুঃখে ভরা, আমি আমার শখের ডিএসএলআরটা বিক্রি করে ভারত ভ্রমন শুরু করেছিলাম। পকেট ভরা টাকা নিয়ে একবুক সপ্ন নিয়ে শুরু করেছিলাম পথ চলা।  স্রেফ আমি একলা একটা মানুষ ভীতমনে সাহসী ভাব নিয়ে চলতে শুরু করেছিলাম। আমার পরিবারের সাথে আমার একটা দূরত্ব থেকেই আমি কেন যেন ভবঘুরে হয়ে গেছি। পড়াশোনার পাশাপাশি দেশেই ঘুরে বেরিয়েছি ২০১১-২০১৬, প্রায় ৪০টি জেলা, ১৫০টি উপজেলা । একলা ঘুরেবেড়াতাম আর নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করতাম, ঘুরে বেড়ানো নেশা হয়ে গিয়েছিল। এক জায়গায় একাধারে কয়েক মাসের বেশী থাকতে পারতাম না। একঘেয়ে লাগত নিজের জীবনটাকে। সবাই যখন তাদের গতানুগানিক জীবন নিয়ে ব্যাস্ত আমি তখন প্রকৃতির প্রেমে ঘুরে বেড়াই মাঠে-ঘাটে, বন-জঞ্জলে।  আমার লেখার হাত তেমন ভালো না, আমি তেমন ভাল পাঠকও না। তবে সামু ব্লগের সংস্পর্শে কিছুটা উন্নতি হয়েছে আমার পড়া-লেখার।  যাই হোক এবার আমার অপ্রকাশিত কিছু কথা

গল্প থেকে শিখি ।

ছবি
প্রিয় গল্পটা আবার বলি, বারবার বলা যেতে এমন গল্প। কাহিনীটা, বলে রাখা ভালো, তলস্তয়েরও খুব প্রিয় গল্প ছিল, সেটা বোঝা যাবে পুনরুজ্জীবন নামের তার জীবনের শেষ উপন্যাসটার শুরুতে এর শিক্ষাটুকু উদ্ধৃত করা থেকে। পয়গম্বর ঈসা একদিন বসে আছেন পাহাড়ের ওপর একটা গাছের নিচে। তাকে জ্বালাতন করার জন্য ফরিসীরা এক বেশ্যাকে নিয়ে হাজির। ফরিসীরা তাকে বললেন, ওহে মরিয়মের পুত্র, তুমি না মুসার শরিয়ত কার্যকর করতে চাও! এবার সেই শরিয়ত মোতাবেক এই বেশ্যার বিচার কর। মুসার শরিয়তে ব্যাভিচারীর শাস্তি পাথর ছুড়ে মৃত্যুদণ্ড। ঈসা নবী মাথা তুললেন না। মাটিতে আঁকিবুকি করতে থাকলেন। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার পর ফরিসীরা আবার তাকে বলল, কি হে, চুপ মেরে আছো যে! বিচার করো! খুব তো আমাদের জ্বালাও, আমরা কেন মুসার শরিয়তের গাফিলতি দেখেও না দেখার ভান করি, এবার তোমার কাছেই আমরা বিচারের ভার ছেড়ে দিলাম। দ্রুত বিচার চাই। ঈসা মাটি থেকে মুখ না তুলেই বললেন, ঠিক, ওর মৃত্যুদণ্ডই পাওনা। তোমাদের মাঝে যে সবচেয়ে' বেশি নিষ্পাপ, সেই প্রথম পাথরটা ছোড়ো।  ফরিসীরা অনেকক্ষণ নীরব হয়ে বসে থেকে এক একে চলে গেল। সেই বেশ্যানারী একাকী রয়ে গেল পয়গম্বর ঈসার সাথে

বেশ ইন্টারেস্টিং!

ছবি
ছবি গুগল থেকে। ঘুষের টাকা ভাগ করতে গিয়ে দুই পুলিশ ঝগড়া করেছে। এক ইয়াবা ব্যবসায়ীকে গ্রেফতারের পর দেড় লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। সেই টাকা দুইজনের মধ্যে ভাগ হওয়ার কথা। কিন্তু দেশে তো ইনসাফ বলে কিছু নেই। কাজেই পুরো টাকা একজন পুলিশই নিয়ে নেন। খুব স্বাভাবিক কারণে অন্যজন এতে ভীষণ রুষ্ট হোন। সেই বেদনা থেকে তিনি আবার অভিযান চালান। কিছুক্ষণ আগে মুক্তি পাওয়া ইয়াবা ব্যবসায়ীকে ধরে জেলে পুরে দেন। সাধারণত এই ধরণের খবর ছাপা হলে পুলিশ বিষয়টা অস্বীকার করে। কিন্তু এই খবরটি পুলিশ অস্বীকার করেন নি। বঞ্চনার স্বীকার পুলিশ ভাইটি অকপটে পুরো ঘটনা স্বীকার করে তার ক্ষোভ এবং বেদনার কথা সাংবাদিককে জানিয়েছেন। পুরো ঘটনাটি অত্যন্ত হৃদয় বিদারক। সামান্য দেড় লাখ টাকা আর মাত্র দুইজন পুলিশ । টাকাটি ন্যায্যভাবে ভাগ করা কি খুবই কঠিন কাজ ছিলো? এইটি আমাদের পেশাদারী দক্ষতা? এই প্রশ্নের উত্তর কে দেবে? আর যিনি ঘুষ দিয়েছেন, তিনিও তার দায় এড়াতে পারেন না। তার উচিত ছিল পুরো টাকাটি দুই ভাগ করে দুই পুলিশকে দেয়া। আলাদা আলাদা খামে। উপরে স্পষ্টাক্ষরে নাম লিখা। ঘুষ দেয়াই তো শেষ কথা নয়। জায়গা মতো টাকাটা দিচ্ছেন কিনা, সঠিকভাবে

স্বর্গের মত একটা গ্রাম, রাইন-নরওয়ে

ছবি
কিছু কিছু দৃশ্য দেখে কখনো মনে হয় এও কি সম্ভব এত মায়াবী সুন্দর, অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকি, আহা পৃথিবীটা আসলেই অনেক সুন্দর, রাইন নরওয়ের একটি গ্রাম, আর্কটিক বৃত্তের ১০০ কিলোমিটার উপরে এই শ্বাসরুদ্ধকর গ্রামটি নরওয়ের লফোটেন দ্বীপপুঞ্জের মস্কেনেসয়া দ্বীপে অবস্থিত। গ্রামটি যথারীতি “পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর জায়গা” হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছে।এর জনসংখ্যা ৩২৯ জন মাত্র। সবচেয়ে ভাল কিছু জেলেদের ঐতিহ্যবাহী কটেজ গুলোকে ভ্রমণকারীদের থাকার জায়গা হিসেবে রূপান্তর করা হয়েছে। কোথায় থাকবেনঃ Reine Rorbuer ; এটি সবদিক থেকেই চমৎকার, আধুনিক সাঁজ সজ্জায় সাজানো হয়েছে, বাইকিং, কায়াকিং এবং স্কিয়িং সুবিধা এর একদম পাশেই রয়েছে। ভাড়া ২০৫-৪৪০ ডলার। Sakrisøy Rorbuer; রাইনের পাশেই এর অবস্থান, ভাড়া ২০০-২৮০ ডলার। Rorbu Cabins at Valen; হচ্ছে পাশাপাশি ২ টি ভিন্নধর্মী কেবিন। আধুনিক ভাবে সজ্জিত। বাইরের দিকে অনেকটা খোলা জায়গা রয়েছে। মেইন বাজার থেকে ১০০ মিটার দুরেই এর অবস্থান। ভাড়া ২৭৫-৩৬০ ডলার। Guesthouse Det gamle Hotellet (Ha