পোস্টগুলি

মে, ২০১৬ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

অতিষ্ট

ছবি
১. বিষন্ন এ পৃথিবীটা আমাকে কুড়ে কুড়ে খায়। আমাকে আকড়ে ধরে বিষক্ত পোকার মত; চাতক পাখির মত তাকিয়ে থাকে দু:খগুলো - চিল শকুনের মত, ঠোকরে ঠোকরে খাবে বলে; পালিয়ে বেড়াই অন্য এক পৃথিবীতে। এখানেও সুখ নেই। এখানেও সুখ নেই। বথার ক্ষত হৃদয়গুলো এখানে, ইচড়ে পাকা দেহগুলো, পঙ্গু জীবনগুলো, হিংস্র জানোয়ারের আচড় খাওয়া চামড়াগুলোর এখানে বাস। সুখ নাই। কোথায় যাব। ২. কবিতা জীবনে অব্যক্ততা বড় জ্বালা নেই তো কোন বদল পালা; দ্বিধাদ্বন্ধে হারায় স্বস্ব অভিপ্রয় কাঁদে যত অব্যক্ত কথামালা। হারা ধরে হয় না পথে ফেরা হয় না আর কখনো মনপুরা; থমকে যাওযা জীবন নাটকে নেই তো কোন পথ খোলা। নিঃসঙ্গতা যে হতাশার পথ- ঘিরে রহে অক্টোপাসের মত; না পারে কহিতে সহিতে ধরে না পারে...

ভালোবাসার প্রান !

ছবি
শুরুতেই সবাইকে অক্সিটসিন, ভেসোপ্রেসিন ও ডোপামিনময় ভালবাসা। ভালবাসার সাথে কিভাবে নিউরাল, জেনেটিক বা বায়োক্যামিক্যাল নেটওয়ার্কগুলো যুক্ত মানুষ তা একটু একটু করে বুঝতে শুরু করেছে। দেখা গেছে জুটিদের মধ্যে দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক মানুষ ব্যতিত অন্য স্তন্যপায়ীদের মধ্যে বিরল। যদিও অধিকাংশ প্রাণীর মধ্যে পারিবারিক বা সামাজিক বন্ধন দেখা যায়। উদাহরনস্বরূপ মাতৃস্নেহ হচ্ছে ভালবাসার অনন্য উদাহরণ। দেখা যায় যে, স্তন্যপায়ীদের মধ্যে এই ভালবাসার প্রক্রিয়া বা ধরন বিবর্তনের গতির সাথে তেমন পরিবর্তন হয়নি; প্রায় একই রকম রয়ে গেছে এই শক্তিশালী প্রক্রিয়াটি। অক্সিটসিনকে বলা হয় “ভালবাসার হরমোন”। অক্সিটসিন মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাস থেকে উৎপন্ন হয়ে পিটুইটারি গ্রন্থিতে জমা থাকে। সন্তানের প্রতি ভালবাসা প্রদর্শনের সময় দেখা যায় মায়েদের মস্তিষ্কে অক্সিটসিনের মাত্রা বেড়ে যায়। এই অক্সিটসিন শুধুমাত্র সন্তানের প্রতি ভালবাসা নয়, বরং সঙ্গী নির্বাচন বা সন্তান উৎপাদনে ভালবাসার কার্যকলাপের সময় অক্সিটসিন অতি মাত্রায় বেড়ে যায়। অক্সিটসিন শুধু ভালবাসার সাথে সম্পর্কিত নয়, তা মানুষে-মানুষে বিশ্বাস ও সামাজিক বন

আমার ভাবনায় বন্ধুত্ব

ছবি
একসাথে ঘুরলে, একসাথে বসলে, একসাথে খেলে কিংবা একই মিছিলে অংশ নিলেই বন্ধু হয়ে যাওয়া যায়? এতসোজা? কি জানি বাপু , বুঝি কমতো… তাই বন্ধুর সংখ্যাও কম… কারন; আমার কাছে বন্ধুত্ব মানে দ্বায়বদ্ধতা, জবাবদিহিতা, শ্রদ্ধা, আন্তরিকতা, সমালোচনা করা অপমান বা কটাক্ষ করার মানসিকতা না। একেবারে আলাদা মর্যাদা, আলাদা একটা আবেদন। বন্ধুত্ব এমন একটা সম্পর্ক যার সাথে কোন সম্পর্কের তুলনা হয় না। পৃথিবীর এমন কোন সম্পর্ক নাই যার সাথে স্বার্থ নাই। একমাত্র বন্ধু হচ্ছে সেই সম্পর্ক যার কোন স্বার্থ নাই। আত্মীয় অনাত্মীয় যে কেউ যেকারো বন্ধু হতে পারে, যেকোন বয়সের। সিদ্ধান্ত নিয়ে বন্ধুত্ব-প্রেম-ভালবাসা হয় না। কিন্তু কিছু কমিটমেন্ট করা যায় অনায়াসে, যেন বন্ধুত্ব-প্রেম-ভালবাসায় ভুল বুঝাবুঝি না হয়। বন্ধুত্ব মানে সবকিছু শেয়ারিং… আনন্দের সময় যেমন থাকবে, দুঃখ কিংবা বিপদেও থাকবে… কোন সমস্যা হলে আস্বস্থ্য করা, ভয় পাইস না আমি আছি। না শুধু টাকার বিচারে না, বন্ধু পরিবারের অন্য সদস্যের মতো হবে। জটিল কিংবা অতিক্ষুদ্রতর সিদ্ধান্তটুকুও প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে তার মতামত নেয়া কিংবা তার সাথে শেয়ার করা। বন্ধুত্ব মানে নিরাপত্তা এবং যত্ন। সুখিচিত্