আমি কেন নাস্তিক হলাম, কাল্পনিক লেখা।

প্রতিটা শিশু যখন জন্মায় সে আল্লা, ঈশ্বর-হিন্দু মুসলমান কিছুই জানে না। প্রতিটি শিশুই নাস্তিক।
একজন মুসলিম, হিন্দু, খ্রীষ্টান জন্মগত ভাবে সে সেই ধর্মের অনুসারী কিন্তু একজন নাস্তিক সে তার নিজের বিবেক, বুদ্ধি , বিচার বিশ্লেসন করেই কিন্তু নিজেকে নাস্তিক বলে দাবী করেন । নাস্তিকতা সে জন্মগত ভাবে অর্জন করে নি । একজন নাস্তিক প্রাপ্ত বয়স্ক হবার পরই কিন্তু নাস্তিক হয় । আমার দৃষ্টিতে নাস্তিকতা যার যার ব্যাক্তিগত বিশ্বাস । একটি রাষ্টে যেমন অন্যধর্মাবলীরা স্বাধিন ভাবে বাস করে । স্বাধীন ভাবে নিজেদের ধর্মীয় রীতিনীতি পালন করেন । ঠিক তেমনি একজন নাস্তিকও নিজেকে নির্ভয়ে নাস্তিক বলে দাবী করতে পারেন । কিন্তু যখন কোন ব্যাক্তি নিজেকে নাস্তিক বলে দাবী করেন ঠিক তখনই সব ধর্মের অনুসারীদের মাথায় যেন বাজ পড়ে । একজন মুসলিম আরেক জন অন্যধর্মালম্বী কে খুব স্বাভাবিক ভাবে মেনে নিতে পারে কিন্তু নাস্তিকতার বেলায় তাদের কি হয় ? কেন তারা সেটা স্বাভাবিক দৃষ্টিকোন থেকে দেখতে পারে না

নাস্তিকতা শুধুই একটি ব্যাক্তিগত বিশ্বাস যা সে নিজের বিবেক, বুদ্ধি, বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে । এতে কারো অধিকার নেই তার ব্যাক্তিগত বিশ্বাসকে অসন্মান করা । প্রতিটি মানুষের মত তারও অধিকার রয়েছে সন্মান পাবার । যদি কোন ধর্মীয় গুষ্টি সেটাকে সন্মান করতে না পারে তাহলে সেটা সেই ধর্মীয় গুষ্টির ব্যার্থতা । যুক্তি তর্ক অবশ্যই আসবে কিন্তু সেটার জন্য দরকার পারস্পারিক শ্রদ্ধা বোধ । সত্য সব সময় সত্যি বলেই প্রমানিত হয় । হোক সেটা হাজার বছর পরে।
যুক্তির জবাব সব সময় যুক্তির মাধ্যমে দিতে হয় কিন্তু তার জবাব তালোয়ারের মাধ্যমে দেয়া নেহাত বোকামী ছাড়া কিছু নয় । সত্য কে সত্যি বলে স্বিকার করতে দরকার শুধু নিজের বিবেক এবং বিচার বিশ্লেসন করার মত বুদ্ধিমত্বা । সিদ্ধান্ত প্রতিটি মানুষের নিজের উপর । আর মানুষের ব্যাক্তিগত স্বিদ্ধান্তের উপর অবশ্যই শ্রদ্ধা থাকা প্রয়োজন ।

এইবার আসি আমি কেন নাস্তিক হলাম। আমি কোন আল্লাই বিশ্বাস করি না। যাকে আমি কোন দিন চোখে দেখি নাই তাহলে আমি তাকে কিভাবে বিশ্বাস করতে পারি। অনেকে আমাকে বলে থাকে তাহলে এটা যে আমার মা কিংবা বাবা এটা আমি কিভাবে বিশ্বাস করি। এটার সহজ একটা উত্তর আছে। বিঞ্জানের এই যুগে ডি এন এ টেস্ট করলে সব কিছু জানা যাবে।

এইবার আসি একটা সহজ উদাহরনেঃ
আমি ধরে নিলাম আমি কোন ধর্মের লোক ছিলাম। আর আমি একদিন সাইকেল চালাচ্ছি। তার সাথে আমি আল্লাহ্‌র জিকির করছি। তার কিছু ক্ষন পরে একটা বড় মোটর সাইকেল এসে আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেল দিল। তখন সবার প্রিয় আল্লাহ কই ছিল। তিনি কি আমাকে রক্ষা করতে পারতেন না। আমি তো তখন তার জিকির করছিলাম। তাহলে কেন তিনি আমাকে রক্ষা করলেন না। আসলে আল্লাহ বলতে কেউ নেই। যদি থাকত তাহলে তিনি আমাকে রক্ষা করতে আসতেন। আমাকে রক্ষা করলেন সেই মানুষটা যিনি রাস্তার পাশে আমাকে পড়ে থাকতে দেখলেন।

মন্তব্যসমূহ

  1. প্রথমেই আমি আপনাকে সাধুবাদ জানাই কারন আপনি আপনার বিচার, বুদ্ধি, জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এবং ইসলামের একটি অংশ মেনে চলছেন যা হল "লা ইলাহা" অর্থাৎ কোন ইলাহ/পালনকর্তা নেই। বাকি অংশও আশা করি মেনে নেবেন এই ভিডিও দেখার পর। ধন্যবাদ https://youtu.be/KevKL5v0rpE

    উত্তরমুছুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

বিদেশে উচ্চ শিক্ষা !

ফিলিপাইন ভ্রমন

আমার ভাবনায় বন্ধুত্ব

"জন্মাই আমার আজন্ম পাপ/অভিশাপ"

কর্মজীবীদের চাকরী নিয়ে বিদেশ যেতে করনীয়।

জীবনের জটিলতায় আজ ভবঘুরে আমি !

ধ্রুবতারার প্রেম

মানব মগজ

স্বর্গের মত একটা গ্রাম, রাইন-নরওয়ে

"লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ"